আমি দেখিলাম এ সংসার ভোজবাজী প্রকার
আমি দেখিলাম এ সংসার ভোজবাজী প্রকার দেখিতে দেখিতে কেবা কোথা যায় ।। মিছে এ ঘরবাড়ি মিছে টাকা কড়ি মিছে দৌড়া-দৌড়ি করি কার মায়ায় ।।
আমি দেখিলাম এ সংসার ভোজবাজী প্রকার দেখিতে দেখিতে কেবা কোথা যায় ।। মিছে এ ঘরবাড়ি মিছে টাকা কড়ি মিছে দৌড়া-দৌড়ি করি কার মায়ায় ।।
আপন মনের গুনে সকলি হয় ও সে পিঁড়েয় বসে পেঁড়োর খবর পায় ।। নামটি রামদাস বলে জাতে সে মুচির ছেলে গঙ্গামায়ের এমনি লীলে এলো চাম-কাটুয়ায়
আজ রোগ বাড়ালি শুধু কুপথ্যি করে ঔষধ খেয়ে অপযশটি করলি কবিরাজেরে ।। মানিলে কবিরাজের বাক্য তবে রোগ হত আরোগ্য মধ্যে মধ্যে নিজে বিজ্ঞ হয়ে গোল
আপন মনে যার গরল মিশে যেখানে যায় সুধার আশে তথায় গরল দেখে ।। মনের গরল যাবে যখন সুধাময় সব দেখবে তখন পরশিলে এড়ায় শমন নইলে
আপনারে আপনি চিনি নে দিন দোনের পর যার নাম অধর তারে চিনব কেমনে ।। আপনারে চিনতাম যদি মিলত অটল চরণ নিধি মানুষের করণ হত সিদ্ধি
আমি কি দোষ দেব কারে রে আপন মনের দোষে প’লেম সুবুদ্ধি স্বভাব গেলো ।। কাকের স্বভাব মনের হল ত্যাজিয়ে অমৃত ফল মাকাল ফলে মন মজিলো
আগে গুরুরতি কর সাধনা ভববন্ধন কেটে যাবে আসা যাওয়া রবে না ।। প্রবর্তের গুরু চেন পঞ্চতত্বের খবর জান নামে রুচি হলে জীবনে কেন দয়া হবে
আমার মনের বাসনা আশা পূর্ণ হল না ।। বাঞ্ছা ছিল যুগল পদে সাধ মিটাব ঐ পদ সেধে বিধি বৈমুখ হল তাতে দিল সংসার যাতনা ।।
আমি ঐ চরণের দাসের যোগ্য নয় নইলে মোর দশা কি এমন হয় ।। নিজগুনে পদারবিন্দু দেন যদি সাঁই দীনবন্ধু তবে তরি ভবসিন্ধু আর তো না
আমারে কি রাখবেন গুরু চরণদাসী ইতরপনা কার্য আমার ঘটে অর্হনিশি ।। জঠর যন্ত্রণা পেয়ে এসেছিলাম কড়ার দিয়ে সে সকল গিয়েছি ভুলে ভবেতে আসি ।। চিনলাম
You cannot copy content of this page