ওগো তোমার নিগূঢ় লীলা সবাই জানে না
ওগো তোমার নিগূঢ় লীলা সবাই জানে না নিরঞ্জন সেই প্যাঁচের ধারা সে ভেদ বোঝা গেল না ।। না ছিল নূরের বিম্বু না ছিল নৈরেকার
ওগো তোমার নিগূঢ় লীলা সবাই জানে না নিরঞ্জন সেই প্যাঁচের ধারা সে ভেদ বোঝা গেল না ।। না ছিল নূরের বিম্বু না ছিল নৈরেকার
ঐ গোরা কি শুধুই গোরা ওগো নাগরী দেখ দেখ চেয়ে দেখ কেমন রূপছিরি ।। শ্যাম অঙ্গে গৌরাঙ্গ মাখা নয়ন দুটি আঁকা-বাঁকা মন বুঝে দিচ্ছে
এসব দেখি কানার হাটবাজার বেদ-বিধির পর শাস্ত্র কানা আর এক কানা মন আমার ।। পন্ডিত কানা অহংকারে মাতব্বর কানা চোগলখোরে আন্দাজি এক খুঁটো গেড়ে
এমন দিন কী হবে রে আর খোদা সেই করে গেল রসুল রূপে অবতার ।। আদমের রূহ সেই কিতাবে শুনলাম তাই নিষ্ঠা যার হল রে
এনে মহাজনের ধন বিনাশ করলি ক্ষ্যাপা শুদ্ধ বাঁকির দায় যাবি যমালয় হবে রে কপালে দায়মাল ছাপা ।। কীর্তিকর্মা সেহি ধনী অমূল্য মানিক মণি তোরে
এখনো সাধ আছে তোমার আ’ল ঠেল বলে চুল পেকে হয়েছে হুড়ো চামড়া বুড়ো ঝুলমুলে ।। হেঁটে যেতে হাঁটু নড়বড়ায় তবু যেতে সাধ মন বার-পাড়ায়
এখন কেনে কাঁদছ রাধে নির্জনে ও রাধে সেইকালে মান করেছিলে সেই কথা তোর নাই মনে ।। ও রাধে কেনে কর মান ও কুঞ্জে আসে
এক আসমানি চোর ভবের শহর লুটছে সদাই আস-যাওয়া কেমন রাহা কে দেখছ বলো আমায় ।। শহর বেড়ে অঘাত দোরে মাঝখানে ভাবের মন্দিরে সেই নিগুম
একি আজগুবি এক ফুল ও তার কোথায় বৃক্ষ কোথায় আছে মূল ।। ফুটেছে ফুল মান সরোবর স্বর্ণগোঁফা ভ্রমরা তার কখন মিলন হয় রে দোহার
একি অনন্ত লীলা তার দেখ এবার আলেক পুরুষ খাকে বারি ক্ষণেক ক্ষণেক হয় নিরাকার ।। আছে সাঁই নৈরাকারে ছিল কুদরতের জোরে সংসার সৃজনের তরে
You cannot copy content of this page